ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন-বলা হলেও তার বাস্তবায়ন নেই চুয়াডাঙ্গায়। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজারে গেলে প্রতিদিন চোখে পড়ে জটলা পাকিয়ে কেনাকাটার দৃশ্য। দেখে মনে হতে পারে, করোনা সতর্কতার বিষয়টি ভুলে গেছে মানুষ। মাঝেমধ্যে পিপিআই পড়ে আসা কয়েকজনকে ভীড়ের মধ্যে দাড়িয়ে হ্যান্ড মাইকে মানুষকে সতর্ক করতে দেখা গেছে। বাজারে ভিড় কমানোর অন্য কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
নিচের বাজারে কেন এতো ভীড়? এমন প্রশ্নের জবাবে হাজরাহাটি গ্রামের হযরত আলী জানান, শহরের মানুষতো বটেই, গ্রামের মানুষও এই বাজারে আসে। এর কারণ হলো, চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারে চাল, ডাল, তেল, সাবান, মাছ, মাংস, মুরগি, সব ধরণের সবজি পাওয়া যায় একই বাজারে। এখানে এলে মানুষ সবকিছু পেয়ে যাচ্ছেন। এজন্য এই বাজারে এতো ভীড়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা বদর উদ্দিন জানান, নিচের বাজারে পাকা কলার হাট বসে। পাকা কলা কেনার জন্য নিজের বাজারে গিয়ে প্রচন্ড ভীড় দেখেছি। ভীড় দেখে মোটরসাইকেলে বসেই কোনোরকমে কলা কিনে ফিরে এসেছি। এখান থেকে শহরের কোনো মাঠে সবজি বাজারটি উঠিয়ে নিয়ে গেলে অনেক ভীড় কমে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের করোনাভাইরাস কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন জানান, মানুষ সচেতন না হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা কঠিন। তারপরও নিচের বাজারটি টাউন মাঠে নিয়ে আনার চিন্তাভাবনা আছে। তাহলে সামাজিক দূরত্ব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।