চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী বাজারে অবস্থিত এজেন্ট সিটি ব্যাংকের মালিক শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। লোন দেবার নামে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুলিয়ে হাতে মাটা অংকের চেকবই ধরি দিয়েছে।
লোন বা লেনদেন তো দুরের কথা সারাখন ব্যাংক বন্ধ রেখে ব্যাংকের আড়ালে শরিফ উদ্দিন বিদেশি হুণ্ডির কোটি কোটি টাকার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রতারিত গ্রাহকসহ এলাকাবাসি। অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটসলুয়া গ্রামের মৃত ঝড়ুমণ্ডলের ছেলে মালয়েশিয়া ফেরত শরিফ উদ্দিন এলাকার একজন স্বিকৃত হুণ্ডি কারবারি।
হুণ্ডির কারবার করতে গিয়ে কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও কৌশলে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা হুণ্ডির টাকার কারবার প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে হিজলগাড়ী বাজারে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের দো তলায় সিটি এজেন্ট ব্যাংক খুলে বসেছেন।
প্রতারণার শিকার কয়েকজন গ্রাহক জানান, শুরুতে এক আধজন স্টাফ নিয়োগ দিয়ে লোন দেবার প্রতিশ্রুতিতে বাড়িতে গিয়ে গিয়ে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্ট খোলান। একাউন্ট খোলার পর গ্রাহকদের ওই ১ হাজার টাকার মধ্যে সাড়ে ৭শ টাকা কেটে নিয়ে ৫০ পৃষ্টার একটি চেকবই হাতে তুলে দেয়।
বর্তমানে কথিত ব্যাংকটি বন্ধ রেখে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সারাদিন বিদেশ থেকে আসা হুণ্ডির টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌছিয়ে দেবার কাজে ব্যবস্থ থাকেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল এবং সিমের তথ্য ট্রাকিংএর মাধ্যমে বের করলে এ যাবত সরকারকে কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লেনদেন করেছেন তার তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এরাকাবাসি জানান শরিফ উদ্দিন হুণ্ডির টাকা লেনদেন করেন বিষয়টি এলাকায় ওপেন সিকরেট। বিষয়টি এনবিআর ও গোয়েন্দা শাখাকে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে শরিফ উদ্দিন বলেন, লোকশানের কারণে ব্যাংক বন্ধ রেখেছে। আমি কোন হুণ্ডির টাকা লেনদেন করি না।