সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন এবং অপর পক্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দু’পক্ষই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা দায়ের করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বক্তব্যের ভিডিও বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার অভিযোগে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন মামলা দায়ের করেছেন।
অপর দিকে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিজিএফ-এর চাল নিয়ে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি মামলা দায়ের করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেনের দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম নিপ্পনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড বক্তব্য রাখেন। কিন্তু ওই বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তন ও এডিট করে ৩০ সেকেন্ডের একটি অসত্য ও বিকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রচার করা হয়।
অপরদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মাফিজুর রহমান মাফি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একই ধারার মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৭ আগস্ট ভিজিএফের চাল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমানের নামে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হয়। আসামীরা তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে মেয়রের নামে ভিত্তিহীন অপবাদ দিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস পোস্ট করে।
ওসি আরো জানান, দুপক্ষের দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দুটি রেকর্ড হয়েছে। পরবর্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।