চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আম্ফান ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে কাচা ঘর, গাছের ডালপালা। ক্ষেতের ফসলও ক্ষতি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্যাপকহারে পানবজর ভেঙে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে। রাত দেড়টার পর আম্ফানের গতি কিছুটা কমলেও বাতাস ছিল। ধীরে ধীরে তা কমে আসে ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল আনাম জানান, আম্ফানের কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রস্তুতি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তিনটি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাতে কয়েকজন চুয়াডাঙ্গার আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সকালে তারা আবার চলে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান জানান, কলা, পেঁপে, সবজি, পান প্রভৃতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।
আমবাগান মালিকদেরও ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক আম পড়ে গেছে। দু’চার দিন পরই চুয়াডাঙ্গার আম বাজারে আসার কথা ছিল। তার আগেই ক্ষতি হয়ে গেল।