চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদ-উদ আযহা সামনে থাকলেও এখনো পর্যন্ত জমে ওঠেনি ঈদ বাজার। ঈদের বাকি আর মাত্র ছয়দিন কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন বিপনী বিতান এবং মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের নেই তেমন চাপ।
আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সবথেকে বড় বিপনী বিতান নিউ মার্কেটে ঘুরে দেখা যায় কোন প্রকার চাপ নাই ক্রেতাদের। এ সময় নিউ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের মালিকবৃন্দ বলেন পবিত্র ঈদ- উল আযহা সামনে থাকলেও এখনো পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো কোন ক্রেতাদের ভিড় আমাদের এখানে হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গায় অনান্য বিপনী বিতান আব্দুল্লাহ সিটি গালির মার্কেট বড় বাজার মার্কেট ও পিন্স প্লাজার অবস্থা একই। চুয়াডাঙ্গা আব্দুল্লাহ সিটির জে এস কালেকশন এর মালিক জানান এই বছরে ঈদ সামনে থাকেলেও ক্রেতাদের তেমন কোন আনাগোনা নাই। আসলে কোরবানি ঈদে তেমন বেচাকেনা হয় না কারণ অনেকে কোরবানির জন্য গরু ছাগল কিনতে ব্যস্ত থাকে।
চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আমান বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে গতবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামা কাপড় গুলো নতুন থাকায় তেমন কিছু এবার নেয়নি।এ সময় জামা কাপড়ের দামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের থেকে এবারের ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে জামা কাপড়ের দাম তুলনামূলক বেশি মনে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে বাজারে আমাদের মনিটরিং সব সময় চালানো হচ্ছে। বাজারে বা মার্কেটে যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ি অতিরিক্ত দামে তার মালামাল বিক্রি করে এবং কোন ভোক্তা যদি অভিযোগ করে সেটির বিষয় আমরা ব্যবস্থা নিব। এ সময় তিনি পবিত্র ঈদ-উল আযহা যথাযথ মর্যাদায় সাথে যেন সবাই পালন করতে পারে এর জন্য জেলার সকল নাগরিকের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে জেলার মেইন মেইন স্থান সহ একাধিক স্পটে আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চেকপোস্টের মাধ্যমে চেকিং সহ বিভিন্ন সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এবারের ঈদ যাত্রা মানুষ যাতে শান্তিতে পালন করতে পারে এর জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি সকলের নিকট পবিত্র ঈদ-উল আযহার যাত্রা যাতে মানুষ শান্তিতে পালন করতে পারে এর জন্য সকলের নিকট তিনি সহযোগিতার কামনা করেন।