চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ছয় জনের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যে ৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা শহরের কেদারগঞ্জ সিএ্যান্ডবিপাড়ার আইতুল মলের স্ত্রী আনজু খাতুন। ৪০ বছর বয়সী আলতু খাতুনকে ৫ জুলাই সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেছেন, তিনি করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। নমুনা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই মারা গেলেন ৪০ বছর বয়সী আনজু খাতুন। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ির তমিজ উদ্দীনের ছেলে রহিদুল ইসলাম সর্দি কাশি জ্বরে ভুগছিলেন। রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে মধ্যরাতে তাকে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
ভোর ৬টার দিকে মারা যান ৪৫ বছর বয়সী রহিদুল। হাসপাতালের আরএমও বলেছেন তিনিও করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসাতালে আনা হয়। ৫ ঘণ্টার মাথায় তিনি মারা যান। জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোলারদাড়ি গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি করা হয় হলুদ জোনে। মধ্যরাতে মারা যান ৬০ বছর বয়সী মনোয়ারা বেগম।
তিনিও উপসর্গে ভুগছিলেন। নমুনা নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আলমডাঙ্গা ওসমানপুরের সমশের ম-লের ছেলে আকবর আলী সর্দি কাশি জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে শাসকষ্ট বাড়ে। তাকে মধ্যরাতে নেওয়া হয় সদর হাসপাতালে। সকাল পৌনে ৭টার দিকে মারা যান ৬৫ বছর বয়সী আকবর আলী।
দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের হাজারী ম-লে ছেলে জহিরুল ইসলামকে গত ৭ জুলাই সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। নমুনা নেয়া হয়। হলুদ জোনে রেখেই চলছিলো চিকিৎসা। আজ শুক্রবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে মারা যান ৭০ বছর বয়সী জহিরুল ইসলাম। হাসপাতালের আরএমও বলেছেন, তিনিও উপসর্গে ভুগছিলেন।
সদর উপজেলার মীর আব্দুল রাজ্জাকের ছেরে মীর আব্দুল হাই করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মারা যান তিনি।