চুয়াডাঙ্গার গহরপুর-সাড়াবাড়িয়া সড়কে গাছ ফেলে ভয়াবহ গণ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে আটকের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর-সড়াবাড়ীয়া সড়কের শালিকচরা মাঠ নামকস্থানে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ১৫/১৬ জনের একদল সংঘবদ্ধ মুখাশধারী ডাকাতদল ব্যাপক তান্ডব চালায়।
ঘটাব্যাপী এ তান্ডবে গরু ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও সাধারণ মানুষকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা, ১০/১২ ভরি সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ডাকাতরা বেশ কয়েকজনকে মারধরও করেছে।
ভয়াবহ এ ডাকাতি ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন ঝিনাইদহ উপ-শহরপাড়ার মুরালি মোহন সাহার ছেলে রণি সাহা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীর।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলেও মালামাল উদ্ধারের কোন কুল-কিনারা হয়নি। ওসি লুৎফুল কবীর জানান, ঘটনার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ দিনে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে।
তবে গ্রেফতারকৃতদেরও নাম পরিচয় জানানো হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। এদের মধ্য ৪ জনের ডাকাতির সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে ও বাকী ১০ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদেরও ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কোন তথ্য মিলছে কিনা তাও জানাতে গড়িমশি করছে পুলিশ। তবে ১০ জনের মধ্যে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি লুৎফুল কবীর।
তাহলে কি বাকী অন্য ৬ জনও ওই ৪ জনের মত নির্দোষী এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মধ্যে। ডাকাতির ঘটনায় আটককৃতদেরও তথ্য ও নাম পরিচয় কেন দিচ্ছেনা পুলিশ তা নিয়েও অনকটা গোলক ধাধার সৃস্টি হচ্ছে। তবে ওসি লুৎফুল কবীর বলছেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে নাম পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।