চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় মোছাঃ ছামেনা খাতুন কাপড় ক্রয় করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর থানাধীন ভালাইপুর বাজারের মঙ্গল মার্কেটে যায়। সেখানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আশরাফুল বস্ত্রালয়ের কর্মচারী রিয়ন এর সাথে তার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। মোছাঃ ছামেনা খাতুন বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার ছেলে মোঃ টিপুকে জানায়। মোঃ টিপু তার বন্ধু ভিকটিম সজল ও মামুনদ্বয়কে নিয়ে একই তারিখ রাতে বাজারে গিয়ে কর্মচারী রিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মোঃ টিপুদের সাথে রিয়নের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়নের পক্ষের লোকজন ধারালো চাকু, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম সজল ও মামুনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সজল ও মামুনদ্বয়কে মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ভিকটিম মামুনের ভাই স্বপন আলী বাদী হয়ে গত ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হৃদয় চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন হুসুকপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী- হৃদয়(২৭) কে গ্রেফতার করে।