চুয়াডাঙ্গা জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তা কাউকে মানতে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণার পর শুক্রবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে ও গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় আগের মতোই চিত্র। মানুষ ঘরের বাইরে এসে ঘোরাঘুরি করেছেন। রাস্তায় ইজিবাইক ভ্যান রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। প্রকাশ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। লকডাউন সময়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়ক এবং নৌপথে অন্য কোনো জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। এই জেলা হতেও কেউ অন্য জেলায় যেতে পারবে না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে।
এছাড়াও সকল প্রকার গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। জনচলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিবহণ এবং ব্যাংকিং সেবা সীমিত পরিসরে চলবে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করেছে। লকডাউনের কোনো নিয়মনীতি কাউকে মানতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় সকাল থেকে সড়কে পুলিশকে হ্যান্ড মাইকে লকডাউন প্রচারণা চালাতে দেখা যায় এবং জনগণকে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত করা হয়েছিল ২ জনকে। এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন।