চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন স্থাপনের জন্য তিন ফসলি জমি নির্বাচনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার কৃষিনির্ভর কোমরপুর ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ‘রেললাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটি’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে।
রেললাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোস্তাফিজ কচি জানান, বর্তমান সরকার চুয়াডাঙ্গার সাথে মেহেরপুর জেলার রেলযোগাযোগের জন্য রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এজন্য পূর্বের প্রস্তাবিত সোজা পথ বাদ দিয়ে নতুন করে কিছু ঘোরা পথে কোমরপুর ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মধ্য দিয়ে রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার হাজার হাজার হেক্টর তিন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কৃষিজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে আমাদের ধারণা। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
রেললাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান মুকুল জানান, এলাকার উর্বর কৃষি জমিতে রেললাইন স্থাপনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী গত ২৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রেললাইন স্থাপন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মওলা বক্স, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সদস্য মহাসিন আলী, ইবাদত আলী, ডা. রবিউল হক, জাহিদুর রহমান মুকুল, হযরত আলী ও মোস্তাফিজ কচি।
বক্তারা বলেন, একটি অসৎ গোষ্ঠির চক্রান্তে পূর্বনির্ধারিত সোজা পথ বাদ দিয়ে ঘোরা পথে রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। চক্রান্তকারীদের নীলনকশা মোতাবেক এলাকার পতিত জমি বাদ দিয়ে উচ্চ ফলনশীল তিন ফসলি কৃষিজমিতে রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা এলাকাবাসীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। এজন্য সরকারের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানান বক্তারা।