চুয়াডাঙ্গা জেলার ভূট্টা ক্ষেত গুলোতে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে করে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। নতুন ধরণের এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা ছুটছেন কৃষি বিভাগের কাছে।
এ অবস্থায় কৃষকদের এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য আক্রান্ত এলাকাসহ সকল এলাকার কৃষকদের সচেতন করতে কৃষি বিভাগের সাথে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, বাংলাদেশের সর্বাধিক ভূট্টা উৎপাদনের জেলা হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। চলতি বছরেও চুয়াডাঙ্গা জেলাতে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে হঠাৎ করেই এ জেলার কিছু ক্ষেতে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। নতুন ধরণের এ পোকা দমনে কৃষকদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সে সময় তাদের সব ধরণের পরামর্শ প্রদান করেন। এ অবস্থায় চলতি বছর আগের তুলনায় কিছুটা বেশি মাত্রায় ভূট্টা ক্ষেতে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ দেখা দেয়।
কৃষি বিভাগ জানায়, ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকাটি মূলত ভারত থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) ইউএসএইড’র সহযোগিতায় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত কৃষি বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কৃষকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ২০ দিনব্যাপি ৬টি সেশনে এসব কর্মকর্তা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
সামিটের হাব কো-অর্ডিনেটর খন্দকার শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা একটু সচেতন হলেই এ বিষয়ে খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। যেহেতু কৃষকদের এ পোকা সর্ম্পকে অজানা রয়েছে এ কারণে প্রাথমিকভাবে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সৈয়দ নূরুল আলম বলেন, ফল আর্মিওয়ার্ম পোকা চুয়াডাঙ্গা জেলাতে আগের বছরের তুলনায় বেশি মাত্রায় আক্রমণ করেছে। এ কারণে এ জেলা থেকে যাতে অন্য জেলাতে পোকাটি ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এবং পোকাটি দমন করতে হবে।
-জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা