চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় ২৮ টাকার ইনজেকশন ১০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা। এ সময় নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফার্মেসি সিলগালা করা হয়।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল গেটের সামনে চন্দন ফার্মেসিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।। এসময় ২৮ টাকার ইনজেকশন ১০০ টাকা নেয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফার্মেসীর মালিক ফরিদ উদ্দিনকে (চন্দন) নগত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফার্মাসিস্ট নিয়োগ না থাকায় ফার্মেসি এক সপ্তাহের জন্য সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
এর আগে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ২৮ টাকার জেসোকেইন ২% ইনজেকশন (অবশ করার জন্য ব্যবহৃত) ১০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠে চন্দন ফার্মেসির মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের নজরে আসে। এরপরই রোববার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন।
সজল আহম্মেদ বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। পরে ওই ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ২৮ টাকার ইনজেকশন ১০০ টাকা নেয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফার্মেসীর মালিক ফরিদ উদ্দিনকে (চন্দন) নগত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মাসিস্ট নিয়োগ না থাকায় চন্দন ফার্মেসি এক সপ্তাহের জন্য সিলগালা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের সহকারী পরিচালক কে এম মুহসীনিন মাহবুব ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম