চুয়াডাঙ্গায় বাড়তি দামে টিএসপি ও ডিএপি সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। টিএসপি সারে বস্তা প্রতি অতিরিক্ত ৫০০-৬০০ টাকা এবং ডিএপি সারে বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত ২০০-৩০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কৃষককে কোনো ক্যাশ মেমো দেয়া হচ্ছে না। আবার অনেক সময় সারের সংকট দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে চাষীদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবাড়াদী গ্রামের কৃষক মোঃ ঝলক জানান, কয়েকদিন আগে ডিঙ্গেদহ বাজার থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের টিএসপি সার ১ হাজার ৭৪০ টাকা দিয়ে কিনেছি। যেসকল কৃষক বাড়তি দামের বিষয়ে অভিযোগ করছেন তাদের সার নেই বলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। জমিতে সারের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে চাষীরা বাড়তি দামে সার কিনছেন।
ডিঙ্গেদহ বাজারের বিসিআইসি সার ডিলার আনছার আলীর ঘরে গিয়ে মজুদ তালিকায় দেখা যায় ১১৩ বস্তা টিএসপি এবং ৬৬৯ বস্তা ডিএপি সার রয়েছে। ডিলার আনছার আলী জানান, অন্য জায়গা থেকে বাড়তি দামে সার কিনতে হচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে ।
গড়াইটুপি বাজারের সার ডিলার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার কাছে দেশি ডিএপি সার নেই। চায়না ডিএপি সার বিক্রি করছি ১ হাজার টাকা বস্তা।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মীর মহিউদ্দিন বলেন, বেশি দামে সার বিক্রির কথা আমিও শুনেছি। বিষয়টি জানার পর সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আলী হাসান জানান, জেলার কোথাও সারের সংকট নেই। ডিলারদের কাছে যথেষ্ট মজুদ আছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ইতোমধ্যেই প্রশাসনিকভাবে খোজখবর নেয়া শুরু হয়েছে।