বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গায় দুইদিনব্যাপী ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা ও ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৪ এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সাহিত্য মঞ্চে এ মেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ও কলেজ পর্যায়ে ২৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কবীর হোসেন বলেন, আমি আশাবাদী, আমাদের তরুণ প্রজন্ম সঠিকভাবে এগোচ্ছে। পৃথিবীর সকল উন্নত জাতি শিক্ষিত। এখন প্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞানের যুগ। এখন অ্যাডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার হবে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবকিছুই হাতের মুঠোয়। মোবাইলে অনেকে আসক্ত হয়ে গেছে। কেউ কেউ মোবাইলে বাইরের দেশের ভাষা শিখছে। আবার কেউ কেউ টিকটকে আসক্ত। নির্ভর করে, আপনার ব্যবহার কেমন হবে। ভালো কাজে ব্যবহার করলে সাফল্য আসবে। আজকের প্রতিপাদ্যে সৌর বিদ্যুত আছে। সারাবিশ্ব এখন ঝুকছে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে। ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনে বিজ্ঞান শিখতে হবে। বিজ্ঞান ছাড়া মুক্তির উপায় নেই। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা চরভাবাপন্ন একটি জেলা। এই জেলায় বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। আমরা সবুজে ভরে দিতে চাই এই জেলাকে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তি। কোনো কিছুই জীবনে বাধা হতে পারে না। যদি ইচ্ছা থাকে। আমরা স্টিফেন হকিং বিজ্ঞানির কথা জানি। অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো বাধায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
দুইদিনব্যাপী ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা ও ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৪ এ স্টল মূল্যায়নে জুনিয়র গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে ফাষ্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুল, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আলমডাঙ্গা একাডেমি এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল।
সিনিয়র গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, এবং তৃতীয় স্থান অধিকারকারী জীবননগর ডিগ্রী কলেজ।
এ সময় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড জুনিয়ার গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান বিদ্যুৎ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোহানুল হক মুন্সি। সিনিয়র গ্রুপ থেকে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস। অষ্টম বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে নাবিল, মজিদ ও বিদ্যুৎ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মুনিয়া, ইউসুফ ও অংকন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে মিজবাহ হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ রাসেল, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাহিদুল আলম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ সাদাত হোসেন,জেলা প্রশাসনের নেজারাত ডেপুটি কালেক্টর সাইফুল ইসলাম সাইফ,সহকারী কমিশনার নাইমা জাহান সুমাইয়া, সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।