চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় দৈনিক সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এ সময় তারা ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার হাসান চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। হেনস্তার শিকার সাংবাদিক রেজা জানান, গত রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষি অধিদফতরে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাজস্ব প্রকল্পের রবি মৌসুমের পেঁয়াজের ফলোআপ বীজ কতজনকে দেয়া হয়েছে এমন তথ্য জানতে কৃষি অফিসে যান তিনি।
এতে কৃষি কর্মকর্তা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে রুমে আটকে রাখেন। এ সময় তিনি অফিসের কর্মচারীদের লাঠি আনতে বলেন এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ছাড়া কৃষি কর্মকর্তা তার মোবাইলও কেড়ে নেন।
পরে পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো: সাজেদুর রহমান কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি কিছু সময়ের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক যেভাবে হামলা ও মামলা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অবিলম্বে তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
দৈনিক জনতার ইশতেহারের জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় এবং দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আউয়াল হোসেন, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম ওসমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক চন্ছল মেহমুদ, আহসান হাবীব মামুন, ইকরামুল হক পিপুল,রিফাত,ইমতিয়াজ রয়েল, আলী আজগর সোনাসহ আরো অনেকে।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন হিজলগাড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজা, দামুড়হুদা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক ওসমান, হারুন রাজু, শরীফ রতন, মেহেদি মিলন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।