চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গান শেখানোর নামে ডেকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত এক ‘সাধুবাবার’ বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ‘ধর্ষণে সহযোগিতার’ অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে।
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই হবিবর শাহ ওরফে সাধুবাবা পালিয়ে গেছে বলে আলমডাঙ্গা থানার এ এস আই শাহবুদ্দিন লস্কর জানান।
তিনি বলেন, হবিবর শাহ এলাকায় ‘লালনভক্ত’ হিসেবে পরিচয় দেন এবং নিজের বাড়িতে নিয়মিত গান-বাজনা করেন। এ কারণে এলাকার লোক তাকে ‘সাধুবাবা’ বলে ডাকে।
মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি থানায় গিয়ে সেই ‘সাধুবাবার’ বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশকে তিনি বলেছেন, তার মেয়েকে হবিবর শাহ গান শেখানোর কথা বলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিত। এ ভাবে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েটিকে হাবিবর ‘নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলেন’, যা সম্প্রতি জানতে পারেন মেয়েটির বাবা।
অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হবিবর শাহের এক ‘নারী সহযোগীকে’ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে হবিবর শাহ তার আগেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ এস আই শাহবুদ্দিন লস্কর বলেন, “হবিবর শাহের স্ত্রী এক বছর আগে মারা গেছেন”। তার অনেক নারী সহযোগী আছে। আটক নারী তাদেরই এক জন। সে শিশুটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করত।”
এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে এ এস আই লস্কর জানান।
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি