চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণ পাচার মামলায় ইদ্রিস আলী নামের একজনকে ১৪ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আসামীর উপস্থিতিতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্তকে পুলিশি প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী যশোর জেলার বেনাপোল বন্দর উপজেলার খালসী গ্রামের মৃত সবুর আলী গাজির ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ জুন ভোরে ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি টহল দল দামুড়হুদা লোকনাথপুর তেল পাম্পের সামনে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইদ্রিস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি তাকে আটকের পর তার দেহ তল্লাশি করে ৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির নায়েক রাসেল শিকদার বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার এসআই শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট ইদ্রিস আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত এ মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণে আসামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১৪ বছর কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একই সাথে আটক স্বর্ণ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি