চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পচা মসলা দিয়ে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত করার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের আলোচিত নিউ আল আমিন হোটেলের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে একই সাথে হোটেলটি ৩ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। একই অভিযানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা না মানায় চুয়াডাঙ্গা শহতলীর দৌলতদিয়াড়ে অবস্থিত মৌসুমী বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নিউ আল আমিন হোটেল। তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের অভিযোগের শেষ নেই। এর আগেও একাধিকবার সেখানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে শতর্ক করা হয়েছে। বারবার শতর্ক করার পরও প্রতিষ্ঠান মালিক একইভাবে তাদের হোটেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ র্যাব-৬’র একটি টিমকে সাথে নিয়ে নিউ আল আমিন হোটেলে অভিযান চালানো হয়। ওই হোটেল থেকে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত মসলা উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ওই হোটেলের রান্না ঘরের পরিবেশ নোংরা। সেখানে বসেই রাধুনিরা খাবার তৈরী করছিলো। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এনামুল হককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৩ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই ৩দিন সময়ের মধ্যে নিউ আল আমিন হোটেলের পরিবেশ ঠিক করতে না পারলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে, একই অভিযানিক টিম চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড়ে অবস্থিত মৌসুমী বেকারীতে অভিযান চালায়। সেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা না মেনে খাবার প্রস্তুত করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় প্রতিষ্ঠান মালিকে সাইদুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।অভিযান পরিচালনায় সার্বিক ভাবে সহযোগিতায় ছিলেন ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর একটি চৌকস দল।