চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বেলা সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ১- আসনের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এ সময় তিনি বলেন, ৫২ বছর আগে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ এ গর্জে উঠেছিল উত্তাল বাঙ্গালী পরিণত হয়েছিলো জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের স্লোগানে উত্তাল হাওয়াই সেদিন উড়েছিলো বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ।
এসময় তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছেছে। এ সময় তিনি ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সকল অভিভাবকদের তাদের বাচ্চাদের সঠিক তথ্য জনানোর জন্য আহ্বান জানান। মূলত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলা মুক্তিসংগ্রামের ঘোষণা ও মূল ভিওি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক সহ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক মন্ডলী, সুশীল সমাজের নাগরিকবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমির শিল্পীবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ।