বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২০ চুয়াডাঙ্গা ভেন্যুর খেলায় শ্বাসরুদ্ধকর এক ফুটবল দেখলো দর্শকরা। টানটান উত্তেজনার খেলায় খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা ১-১ গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
গতকাল শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার নতুন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ ও খুলনা জেলা একাদশ। খেলার প্রথমার্ধে দুই দলের খেলোয়ারদের আক্রামন পাল্টা আক্রমনে গ্যালারীতে বসে দারুন এক উত্তেজনাকর ফুটবল উপভোগ করেন দর্শকরা।
প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটের মাথায় খুলনা একাদশের ৯ নং জার্সিধারী জান্নাত মাঝ মাঠ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়ারদের পরাস্ত করে চুয়াডাঙ্গার জালে বল জড়িয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন। মধ্য বিরতির আগ মুহুর্ত পর্যন্ত খুলনা জেলা একাদশ ১-০ তে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরু থেকেই খুলনা একাদশের খেলোয়াররা অনেকটা একপেশে ফুটবল খেলেন। চুয়াডাঙ্গা একাদশ ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে খেলোয়ারদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের ১ম প্রথম দিকে অনেকটা অগাছালো ফুটবল খেলতে থাকে চুয়াডাঙ্গা একাদশের খেলোয়াররা।
এ সময় খুলনাা একাদশের খেলোয়ার দফায় দফায় আক্রমন করলেও গোল ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু খেলা শেষের ১০ মিনিটে দারুন ফুটবল খেলা উপহার দেয় চুয়াডাঙ্গা একাদশের খেলোয়াররা। এ সময় দফায় দফায় আক্রামন করে অনেকটা বিপর্যস্ত করে ফেলে খুলনা জেলা একাদশের খেলোয়ারদের। শ্বাসরুদ্ধকর এক ফুটবল উপভোগ করতে থাকে গ্যালারিতে বসা দর্শকরা।
খেলা শেষের ১ মিনিট আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশের পরিকল্পিত এক আক্রামন থেকে ৮ নং জার্সিধারী তরু খুলনা একাদশের গোল রক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলে খেলায় ১-১ গোলে সমতা আসে। রেফারি জসিম আক্তারের শেষ বাঁশিতে দুই দলকেই সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।
খেলায় সহকারী রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিষ চক্রবর্তী ও আশরাফুল ইসলাম। ম্যাচ রেফারী ছিলেন তোফাজ্জেল হোসেন বাচ্চু।
মেপ্র/ইএম