চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন, একই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। দূর্ঘটনা গুলি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জেলার আন্তঃজেলা বাসটার্মিনালের সামনে ও দর্শনা মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার একটু আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের সিটি ইটভাটা থেকে কাজ শেষে ১০ জন ইটভাটা শ্রমিক তাদের নিজ নিজ বাড়ি সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাসটার্মিনালের নিকটে পৌছলে পিছন দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের বহনকারী আলমসাধুকে সজোরে ধাক্কা দিলে তারা সকলেই ঘটনাস্থলে রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জোহর আলীকে(৪২) মৃত ঘোষনা করেন, তিনি জালশুকা গ্রামের বাচাল আলীর ছেলে।
আহত অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে জব্বার আলী (৩৮), বাবুল আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (৪০), নাসিরের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (১৪), আ.মজিদের ছেলে বাবলু (৩২), মৃত আইজদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৬),মৃত সুরত আলীর ছেলে সোবহান আলী (৫০), তোফান আলীর ছেলে আজম (৩৫), পাশ্ববর্তী বোয়ালিয়া গ্রামের লোকমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৬) এবং কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৩৫)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আহতদেরকে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি তাৎক্ষনিক ভাবে আটক করতে না পারলেও ড্রাইভার হেলপারের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে।
পৃথক অপর দূর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দর্শনা বাসষ্ট্যন্ডের অদূরে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনে। এসময় জেলার দামুড়হুদা থেকে দর্শনা অভিমুখে আসা সিএনজি থ্রি-হুইলার রাস্তার উপরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাড়িয়ে থাকা কেরু চিনিকলের আখ বোঝায় একটি ট্রাক্টরের সাথে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
এ সময় সেটি দুমড়ে-মুছড়ে গেলে সামনের আসনে বসে থাকা দর্শনা পরানপুরের মৃত মোবারক মন্ডলের ছেলে কেরু চিনিকলের আবসর প্রাপ্ত ট্রাক ড্রাইভার ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেনের বড়ভাই নজির হোসেন (৬৮) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন, এরা হলেন, নিহত নজির হোসেনের স্ত্রী জাহানার বেগম (৫৫), সিএনজি চালক দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের মিজানুর রহমানের ছেলে সুজন (২০), দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী নাজিরা খাতুন ( ২৮) ও দর্শনা রামনগর গ্রামের চান মিয়ার স্ত্রী শাহানারা বেগম (৪২)।
ট্রাক্টর টির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। দুটি ঘটনায় আহতদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।দর্শনা থানারওসি মাহাব্বুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।