চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। আলোচন সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন কারী শান্তি রহমান। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এ সময় তিনি বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশ কে সেচ্ছাসেবক লীগকে একটি মডেল হিসেবে দাড় করাতে চাই। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আবারো নৌকাকে বিজয় করবে।এ সময় তিনি সম্মেলন সফল করার জন্য সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এদেশের জনগণ বুঝে গেছে কারা স্বাধীনতার পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। বিএনপি এদেশে ভোট ডাকাতির নজির স্থাপন করেছে! জিয়াউর রহমান হ্যাঁ না ভোট করেছে, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন করে জনগনের ভোটাধিকার হরণ করছে! বিএনপি ভোট ডাকাতি করে দেশে বিদেশে ভোট ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি আবারও ভোট বান চালের চেষ্টা করে তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মীকে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, বাংলাদেশের ৪ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনের সেবক! শাসক নয়! সেবার মধ্য দিয়ে তিনি জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। জনপ্রিয়তা দিয়েই আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নৌকা জয় লাভ করবে।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কাজ করে মানুষের জন্য জনগণের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সরকারের সফলতার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি সকলের নিকট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল সায়েম,ঢাকা মহানগর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুমন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভূলন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি
প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে একক সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ ফরিদ আহমেদ কে সভাপতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদপ্রার্থী ১১ জন তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। সকল সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে নিদিষ্ট সময় দিয়ে একজন প্রার্থী বাঁচার কথা বলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সকল সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে হাফিজুর রহমান হাফিজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু,চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মতিয়ার রহমান মতি।