দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। শহরের টাউন ফুটবল মাঠে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপির সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এরপর সেমি ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় বা মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়ে পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দরা বক্তৃতা করেন ।
তবে, ছোট কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার দাবি করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। এই সম্মেলনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে রাজাকারমুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গড়ার আহবান তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল