দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে চলমান লকডাউনের ৫ম দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার ছিলো দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে লকডাউনের ৫ম দিন।
লকডাউন বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড, চলছে জনসচেতনতা মূলক মাইকিং, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে, শহর থেকে গ্রামে চলছে জোরদার টহল, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান প্রশংসিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান সহ দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) সুদিপ্ত কুমার সিংহ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক-উজ-জ্জামান।৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত।
লকডাউন বাস্তবায়ন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, সারা বাংলাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার করেনা সংক্রমণ উর্ধগতি। এ লক্ষে দামুড়হুদা উপজেলার সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছেন।সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলাব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আপনার আমাদের সাথে সহযোগিতা করবেন এটা আমরা আশাবাদী। করোনায় শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষের পরিবারকে সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সকলকে সচেতনতার সাথে চলাচল করতে হবে, আমাদের পক্ষ্য থেকে জনসাধারণের সর্বত্র সচেতন থাকার জন্য প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। সকলে বাধ্যতা মূলক মাস্ক পরিধান করতে বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে, এরপরও অনেকের মাঝে মাস্ক পড়তে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উপজেলাতে সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ লক্ষ্যআমাদেরকে বেশি বেশি সচেতন হতে হবে,তা না হলে আগামীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বাইরে চলাচলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কঠোর হবে প্রশাসন। সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে বের হবেন না। নিজে ও পরিবার সুস্থ রাখতে সরকারের দেওয়া সকল নির্দেশনা মেনে চলুন। লকডাউন বাস্তবায়ন প্রশাসন কে সহযোগিতা করুন।