চুয়াডাঙ্গা জেলার মানবিক পুলিশ সুপার নামে খ্যাত মোঃ জাহিদুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে খাদিজা খাতুন ফিরে পেলো তার সুখের সংসার। মোছাঃ খাদিজা খাতুন (২৫) এর সাথে মোঃ চাঁন মিয়ার (৩২), পিতা-মোঃ খোকন, সাং-শ্রীকোল মন্ডলপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গার ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ০২টি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে মোছাঃ খাদিজা খাতুন এর নিকট তার স্বামী মোঃ চাঁন মিয়া যৌতুক দাবী করে আসছে। যার ফলে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। একপর্যায়ের গত ০২.০৪.২০২১খ্রিঃ তারিখ মোছাঃ খাদিজা খাতুনকে যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মারপিট করে সন্তানসহ বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। পিতা-মাতাহীন অসহায় খাদিজা খাতুন তার ০২টি সন্তান নিয়ে তার নানা আব্দুর রশিদ, সাং-উজিরপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। খাদিজা খাতুন কোথাও কোন সাহায্যের আশ্বাস না পেয়ে অবশেষে স্বামীর সংসার করার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযোগটি তাঁর কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/ মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ চাঁন মিয়া (৩২) এবং মোছাঃ খাদিজা খাতুন (২৫) দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের কল্যাণে অসহায় খাদিজা ফিরে পেল তার সুখের সংসার।