চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সকল ধরনের মানবিক কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন সকলকে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসীর কাছে উঠেছেন মানবিক পুলিশ সুপার।
ময়না খাতুন (৩০), পিতা-মৃত আঃ রহিম, সাং-পলাশপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ বিপুল হাসন বিপুল (৩৫), পিতা-মাহারম কানা, সাং-ডাকবাংলা, থানা ও জেলা-ঝিনাইদহ ইসলামী শরিয়া মোতাবক বিবাহ হয়। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের ০২টি সন্তান থাকা সত্বেও বিপুল হাসান ২য় বিবাহ করে। সন্তানের মুখর দিকে তাকিয়ে শতকষ্ট সহ্য করে ময়না খাতুন সংসার করছিলন। স্বামী ও তার পরিবারের অত্যাচার মুখ বুজ সহ্য করছিলেন ময়না খাতুন।
একপর্যায়ে ময়না খাতুনকে স্বামী ও তার পরিবারর লোকজন মারপিট করে সন্তানসহ বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। অসহায় ময়না খাতুন তার ০২টি সন্তান নিয়ে তার পিতার বাড়ীত আশ্রয় নেয়। ময়না খাতুন কোথাও কোন সাহায্যর আশ্বাস না পেয় অবশেষ স্বামীর সংসার করার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযাগটি তার কার্যালয় অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর মাধ্যম উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারর কার্যালয় হাজির করেন। উইমন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ বিপুল হোসেন এবং মোছাঃ ময়না খাতুন দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের কল্যাণে অসহায় ময়না ফিরে পেল তার সুখের সংসার।