চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেষণ, পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পালিত হয় দিবসটি।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য জাগ্রত হয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গার পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক জোয়ার্দ্দার সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।