চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রী আমিমা খাতুন ঐশিকে সম্ভ্রমহানি করায় লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ঐশি।
এ ঘটনায় সম্ভ্রমহানি করা বখাটে ফরহাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় বখাটে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল আমিমা খাতুন ঐশি।
ঐশি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার শীতলী গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে। ঐশি চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ায় তার বোনের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।
বখাটে ফরহাদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের আশানুর রহমানের ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রদীপ কুমার সাহার রড-সিমেন্টের দোকানের কর্মচারি ছিল।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ফরহাদ ঐশিদের বাড়িতে ঢুকে ঐশিকে সম্ভ্রমহানি করে । ওই সময় বাড়িতে ঐশি ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। ফরহাদ ঐশীর মুখ চেপে ধরে শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়।
এ সময় ঐশীর গোঙ্গানোর শব্দে প্রতিবেশিরা বিষয়টি জেনে ফেললে বখাটে ফরহাদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় লজ্জায় ঐশি শনিবার রাতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে শনিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে মারা যায় ঐশি। সেখানে তার ময়না তদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গায় লাশ আনা হয়।
রবিবার দুপুরে ঐশির ভগ্নিপ্রতি মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বখাটে ফরহাদকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অর্ভিযোগে মামলা দায়ের করেন। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ফরহাদকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি