আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী ঢেঁকি মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষনা করলেন সংবাদ সম্মেলনে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে চুযাডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ঢেঁকি মার্কার প্রধান অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন নেতা কর্মিদের উপস্হিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহারিয়ার মাহামুদ লন্টু বলেন আমাকে নির্বাচনি এলাকায় স্বাধীনভাবে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে,আমার নেতা কর্মিদেরকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
আগামী ৭ই জানুয়ারি-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৮০ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি’তে তিনি বলেন, তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হলে এলাকার জনগনের কল্যাণে এলাকায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার করণীয় সমূহ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
উন্নয়নের সকল সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে নির্বাচনী এলাকার জনগনের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মমুখী শিক্ষা বিস্তার এবং কর্মসংস্থানের উপর যথাযথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলে সর্বোচ্চ গুরত্বারোপ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিল, বাওড়, খাল, হাট-বাজার জবরদখল করে সরকারি রাজস্ব আয় ফাঁকি দিয়ে লুটপাটের যে মহাউৎসব চলছে তা বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দূর করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে করণীয় কাজগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদন করা হবে।
এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো সুসংগঠিত করার জন্য দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ সম্ভাব্য স্থানে আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে।
নারীর ক্ষমতায়নে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে কৃষক ভাইদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নিশ্চিত করা হবে। কৃষি বাণিজ্যিক করণ করার কার্যক্রম তরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগর, দামুড়হুদা, দর্শনা, তিতুদহ, বেগমপুর, গড়াইটুপি ও নেহালপুর বাংলাদেশের নিবিড় কৃষি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে কৃষি শিক্ষার উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার ও নির্মানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা দুর করে আরো সুসংগঠিত করা হবে।
যুব সমাজের আইটি দক্ষতা বৃদ্ধি করে ঘরে বসে রোজগারের ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলা সহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরী করা হবে। দর্শনা এবং জীবননগরের পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্টার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির সম্পদ ব্যবহারে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনগনের মধ্যে সমন্বয় করে জেলার সার্বিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহয়তা করার জন্য ঢেঁকি মার্কা প্রতীকে আপনার মূল্যবান রায় চেয়ে সকলের কাছে ঢেঁকি মার্কায় ভোট চাইলেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, জীবননগর উপজেলা আ লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ সান্টুসহ মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।