প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন।
শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড় বাজারস্থ নির্বাচনী অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইব্রাহিম শাহীন বলেন, দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই নির্বাচনে কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, দলীয় কোন পদ-পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে কোন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
সেই জায়গা থেকে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই মেহেরপুর ত্যাগ করলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দলীয় ফোরাম ব্যবহার করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিন সরাসরি দলকে ও কর্মীদের কে ভুল বুঝিয়ে। তিনি বলেছেন উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই কাজটি করছি।
আশরাফপুরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে যেই জনসভা করলো সেই জনসভাতেও দলের ব্যানারটা ব্যবহার করলেন এইভাবে দলীয় পদ-পদবি দিয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন আমরা একজায়গায় হয়েছি।
দুজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পিবিসিএস ব্যবহার করলেন। একজন হলেন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান । তিনি তার পিবিসিএস ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে আইন লঙ্ঘন করে তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় একটি প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণার জন্যে তিনি ব্যবহার করলেন।
আরেকজন হচ্ছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কে ব্যবহার করলেন নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে। যা এইসব নিয়ে আমার প্রিয় নেতার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
আজকে আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি, হুমকি, ভোটারের এজেন্ট রাখবো না, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেবো না বলে হুমকি দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পাঁচ বছরের জন্য মানুষ তাকে ভোট দিয়ে আমদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন কিন্তু তিনি মামলা করে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের পদ দখল করে রেখেছিলেন।
তিনি ১৩ বছর স্বৈরাচার চেয়ারম্যান ছিলেন। কারণ হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে যদি না আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে তিনি স্বৈরাচার হয়ে গেছেন। আমরা সেই স্বৈরাচারের যুগে ফিরতে চাই কিনা?
সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী অংশগ্রহণ করেন।