ডার্ক ওয়েবে চুরি করা চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা গুনে শেষ করার নয়। চ্যাটজিপিটি আসার পর যেকোনো চ্যাটবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারী ভাষা অ্যাপ তাদের কার্যকারিতা খুইয়েছে। কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়তার নেতিবাচকতা কি কম? চ্যাটজিপিটির প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টের ওপর নজর পড়েছে হ্যাকারদের।
সম্প্রতি সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম গ্রুপ-আইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ লাখেরও বেশি চ্যাটজিপিটি লগিন ক্রেডেনশিয়াল বিক্রির জন্য ডার্ক ওয়েবে তোলা হয়েছে। ফার্মটি জানিয়েছে, জনপ্রিয় র্যাকুন ম্যালওয়ারের মাধ্যমে হ্যাকাররা ডাটা সংগ্রহ করছে। র্যাকুন যেকোনো সাধারণ ম্যালওয়ারের মতোই কাজ করে। অধিকাংশ সময় এটি ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে সাধারণ অ্যাপ বা ফাইল আকারে ডাউনলোড হয়। তারপর ম্যালওয়ারটি ছড়িয়ে পড়ে ব্যবহারকারীর ডাটা চুরি করে নেয়।
এমনিতেও হ্যাকারদের কবলে চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্ট নিরাপদ নয়। এ নিয়ে অনেক সমস্যা অতীতে খুঁজে বের করা হয়েছে। এর আগে গুগলের মতো বড় টেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন চ্যাটজিপিটিতে সেন্সিটিভ কোনো তথ্য প্রদান না করে। যদি হ্যাকাররা চ্যাটজিপিটির হিস্ট্রি দেখে তাহলে এসব তথ্য সহজেই পেয়ে যাবে।
সমস্যার পরিধি বিশাল। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নানা অবকাঠামোগত ব্যবস্থায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেছে। তাছাড়া সমস্যা এখানেই নয়। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট অন্য কেউ ব্যবহার করছে। আপনি খরচ করে অন্যকে চ্যাটজিপিটির সাবস্ক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া মোটেও ভালো কিছু হতে পারে না।
সূত্র: ম্যাশেবল