মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরান কে মারধর করার আসামী আশিকুর রহমান আশিক কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে আত্বসমার্পণ করে জামিন আবেদন করেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আশিক কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আশিক মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজের সামনে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানকে আশিক ও তার লোকজন মিলে মারধর করে। এ ঘটনায় তুষার বাদি হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশিকুর রহমান আশিককে ২০১৭ সালে ২৬ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এছাড়াও আশিক মাদকের সাথে জড়িত থাকার দায়ে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল মুজিবনগর থানায় একটি এফ আই আর করা হয়। যার নাম্বার ৫।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র জানান, আশিক মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তাই কলেজে নিজের একতরফা রাজত্ব কায়েম করার জন্য তুষারের উপর হামলা চালায়।
এছাড়াও আশিকুর রহমান অশিকের বিরুদ্ধে ইভটিজিং সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশিক কলেজে নিজের আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করে। সে বিভিন্ন মহলে চাঁদা আদায় করে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না। কেউ কিছু বলতে গেলে তার পোষা লাঠিয়াল বাহীনি দিয়ে মারধর করা হয়। কলেজে বসে সে মাদকসহ বিভিন্ন নেশা দ্রব্য সেবন করে বলেও অভিযোগ আছে। সে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে কলেজের ১ম বর্ষের ছেলেমেয়েদের তার নিজের কথা মত চলতে বাধ্য করে।
এ রকম বখাটে উশৃঙ্খল ছাত্রলীগ নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে কলেজ থেকে তাকে বহিস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি উঠেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক