চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ার সুলতানা রাজিয়া নিজের বাড়ি ফিরতে পারছেন না। কুলঙ্গার ছেলে সুলতান আহম্মেদ নিজের মাকে বাড়ি ছাড়া করেছেন। মা এখন মেয়ের বাড়ি সদর উপজেলার হিজলগাড়িতে বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে আদালতে ও থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ার মৃত হারুন অর রশিদের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া তাঁর পুত্র সুলতান আহম্মেদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে গত ১১ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, গত ১০ অক্টোবর মামলার বাদীনির পুত্র সুলতান আহম্মেদ তার মাকে মারধোর করেন এবং ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী অন্যত্র বিক্রি করে দেন।
চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে দায়ের করা এ মামলায় আসামি সুলতান আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমান। ওই মামলায় গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুলতান আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ১৯ অক্টোবর আদালত থেকে সুলতান আহম্মেদ জামিনে মুক্ত হন।
জামিনে মুক্ত হওয়ার তিনদিন পর সুলতান আহম্মেদ বাড়ির ভেতরে থাকা অনুমান এক লাখ টাকার বিভিন্ন ধরণের ফলজ গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়েও গতকাল শুক্রবার থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানায় মামলা করেছেন সুলতান আহম্মেদের বোন লাইলা বানু।
লাইলা বানু বলেন, আমার মায়ের তিন পুত্র সন্তান। এর মধ্যে মা সুলতান আহম্মেদকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। সুলতান ঢাকায় বাড়ি করেছেন। তার নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার বাড়ি থেকে মাকে বিতারিত করতে চান। সেজন্য সুলতান জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। জোর করে বাড়ি দখল ছাড়াও সুলতান তার মা ও ভাইবোনদের নানাভাবে অত্যাচার শুরু করেন। নিরুপায় মাকে এখন বসবাস করতে হচ্ছে মেয়ের বাড়িতে।
জোর করে বাড়ি দখল করার পর থেকে সুলতান বাড়ির বিভিন্ন ফলজ গাছপালা কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সুলতান আহম্মেদের বোন লাইলা বানু বলেন, চুয়াডাঙ্গার দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার বাড়িতে আমার পিতা তার জীবদ্দশায় আম, লিচু, কাঠালসহ বিভিন্ন ধরণের গাছ রোপন করেন। সেই গাছ এখন বড় হয়েছে। কয়েকদিন ধরে সুলতান বাড়ির সেইসব গাছপালা কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। এভাবে সুলতান অন্তত এক লাখ টাকার গাছপালা বিক্রি করে দিয়েছে।