এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় সিনেমার মধ্যে একটি হচ্ছে— ‘জংলি’। আর এতে অভিনয় করেছেন সময়ের আলোচিত ঢালিউড অভিনেত্রী শবনম ইয়াসমিন বুবলী। তার বিপরীতে আছেন আরেক ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। ‘জংলি’ সিনেমাটি দর্শকদের চোখে কান্না ঝরিয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে বাবা-মেয়ের গল্প। এক যুবক কীভাবে বাবা হয়ে উঠলেন সেই গল্প নিয়েই ‘জংলি’ সিনেমা। এ সিনেমায় সিয়াম-বুবলী ছাড়াও দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। টাইগার মিডিয়া প্রযোজিত ‘জংলি’ সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে— মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।
ঈদুল ফিতরে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে সাতটি করে প্রদর্শনী ছিল। দর্শক আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটির প্রদর্শনীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আবার বাড়ানো হয়। পরে আবার কমানো হয়। ছবি মুক্তির নবম দিনে এসে প্রদর্শনীর সংখ্যা আবারও এক দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিনেমা হল পরিদর্শনে এসে বুবলী জানালেন ‘জংলি’র শো দ্বিগুণ হওয়ার কারণ। অভিনেত্রী বলেন, সিনেমার বড় প্রচারটা হয় দর্শকদের মুখ থেকে। অন্যদের বলছে সে কারণে শো দ্বিগুণ হচ্ছে।
বুবলী বলেন, ‘জংলি’ সিনেমায় দর্শকদের আকৃষ্ট করার মতো সব কিছুই আছে। এটিকে পারিবারিক সিনেমা, কমেডি সিনেমা এবং পাশাপাশি মিউজিক্যাল সিনেমা বলা যায়। অনেক সুন্দর সুন্দর গান রয়েছে সিনেমাটিতে। সিনেমাটি দর্শক দেখবে আমাদের এমন বিশ্বাস ছিল। সবার ভালোবাসা দেখে আমরা অভিভূত। তিনি বলেন, আমরা শিল্পী হিসেবে সিনেমা প্রচার অবশ্যই করি। টিম থেকে প্রচার করছে। বড় প্রচারটা হয় দর্শকদের মুখ থেকে আসা। অন্যদের বলছে সে কারণে শো দ্বিগুণ হচ্ছে। সামনের সপ্তাহে আরও ২০ থেকে ২৩টি হল যুক্ত হচ্ছে। এটা কিন্তু হয়েছে দর্শকদের ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা থেকে। এসব হয়েছে আমাদের টিমের পরিশ্রম ও দর্শকদের ভালোবাসায়।
অভিনেত্রী বলেন, ছোট ছোট শিশু থেকে ৮০ বছরের দর্শক ‘জংলি’ দেখছেন। বিশেষ করে বলতে হয়, আমাদের সিনিয়র সিটিজেন হলে ফিরেছেন। তারা পরিবার নিয়ে আসছেন সিনেমা দেখতে। এটা খুবই ইতিবাচক। পরবর্তী কাজের জন্য আবার খুব চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে মনে হয়, প্রতিটি গল্পই আলাদা মানুষকে কাঁদানো-হাসানো কঠিন কাজ। সেখানে বাংলা সিনেমা জংলি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন দর্শকরা। তারা হাসছেন, কাঁদছেন। পরবর্তী সিনেমা করতে দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিকে সিয়াম-বুবলীর জংলি দেখতে আসা এক দম্পতির হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অদিতি ও আবির— দুজনই চাকরিজীবী। বিয়ের পর কেটে গেছে অনেক বছর। কিন্তু জীবনে ঘর আলো করার মতো সংসারে এখনো কেউ আসেনি। তারা এখনো সন্তানের মুখ দেখেননি। তারা দুজনে মিলেই প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন ‘জংলি’ সিনেমা দেখার জন্য। সেই সিনেমা দেখার পরই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, সন্তান দত্তক নেবেন।
এ বিষয়ে আবির নামে ওই যুবক বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই দ্বিতীয়বার জংলি দেখলাম এবং উপলব্ধি করলাম শুধু জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায় না। জন্ম না দিয়েও আদর্শ বাবা-মা হওয়া সম্ভব। সেটা জংলি সিনেমায় পরিচালক দারুণভাবে উপলব্ধি করাতে পেরেছেন।
সূত্র: যুগান্তর