জোরজবরদস্তি তার নাম বদলে ফেলা হয়েছিল। ক্যারিয়ারের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে তাতে রাজিও হতে হয়েছিল তাকে। তবে অনেক বছর পর নিজের আসল পরিচয় ফিরে পান তিনি।
বলছি বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা রাজার কথা। ১৯৭৫ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার।
তিনি একাধারে অভিনেত্রী ও প্রযোজক ছিলেন। তবে ইন্ডাস্ট্রির কাছে প্রথমে তিনি নেহা হিসেবে পরিচিতি পান।
তার অবশ্য আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি ‘ফ্যামিলি ম্যান’ মনোজ বাজপেয়ির স্ত্রী।
১৯৯৮ সালে নেহার প্রথম ছবি মুক্তি পায়। ববি দেওলের বিপরীতে ‘করীব’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
এর পরের বছরই ‘হোগি প্যায়ার কি জিত’ নামে আরও একটি ছবি মুক্তি পায় তার। শুরু থেকেই দর্শক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন শাবানা।
কিন্তু মন থেকে সেই খ্যাতি পেয়ে খুশি হতে পারছিলেন না তিনি। কারণ দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন নেহা।
২০০০ সালে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘ফিজা’, ২০০১ সালে ‘রাহুল’ ও ‘আত্মা’ নামে দুটি ছবি করেন ওই নেহা নামেই।
শাবানার দাবি, তিনি বারবারই অনুরোধ করতেন তাকে নিজের প্রকৃত পরিচয় ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেউই তার অনুরোধে কান দিতেন না।
তার স্বামী মনোজও তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। তিনিও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিশ্রম করছেন। ‘করীব’ ছবির পর পরই তাদের আলাপ। ২০০৫ সালে তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর ২০১০ সালে প্রথম নিজের নামে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি।
তবে ২০১১ সালে তাদের একমাত্র মেয়ের জন্মের পরই অভিনয়, খ্যাতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শাবানা। এখন একজন মায়ের পরিচয়েই জীবন কাটাচ্ছেন শাবানা রাজা। সূত্র: আনন্দবাজার।