রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হলো সেটেলমেন্ট অফিস, প্রতিটি মানুষের কিছু না কিছু ভূ-সম্পতি থাকে যার আফিসিয়াল পর্চা এখান থেকে সংগ্রহ করতে হয়। জমিজমার কাগজপত্র এই অফিস থেকেই তোলা হয়। আবার মৌজা ম্যাপ ও জরিপ সংক্রান্ত তথ্যও এখানে থাকে।
কিন্তু ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার এই সেটেলমেন্ট অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মানুষ প্রতিদিন চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ৬জন জনবল খাতা কলমে থাকলেও ৫জনই অনত্র ডেপুটেশনে চলে গেছে একমাত্র রেকর্ড কিপারই ভরসা। নৈশ প্রহরী দিয়েই গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে পর্চা বিক্রয় করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে নৈশ প্রহরী রাতে কোন দায়িত্ব পালন করেন না।
সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকাই, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই তাকে কর্মস্থলে পাওয়া যায় না।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রেকর্ড কিপার হাবিবুর রহমান অফিসের সকল দায়িত্ব পালন করছেন। আর অন্য রুমে জনাকীর্ণ পরিবেশে নৈশপ্রহরী বিশ্বজিত কুমার টাকার বিনিময়ে পর্চা বিক্রয় করছেন। এ বিষয়ে অফিসে উপস্থিত রেকর্ড কিপার হাবিবুর রহমান বলেন জনবল না থাকায় আমরা নৈশ প্রহরী দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে থাকি। ডেপুটেশনের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই জন সাভার ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত, ১জন সার্ভেয়ার নড়াইলে, আর ২ জন নাজির তারাও যশোরসহ অনত্র দায়িত্ব পালন করছেন। উন্নয়ন খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত নাইট গার্ড দিয়েই কোন রকম চলছে অফিস। ভোগান্তি থেকে বাঁচার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন জনবল সংকট আছে, তবে একজন রেকর্ড কিপার আছেন তিনিই পর্চা দিয়ে থাকেন। নৈশ প্রহরী পর্চা দেন না বলেও তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা এ বিষয়ে বলেন হরিণাকুণ্ডু সেটেলমেন্ট অফিসে জনবল সংকটের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করি।