শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার বিপাশা বাবার বাড়িতে বাস করছেন দুই বছর। এ দুই বছরে স্বামী বা তাদের পরিবারের কেউ খোঁজ রাখেনি গৃহবধু বিপাশার।
অবশেষে বিপাশাকে স্বামীর ঘরে ফিরিয়ে দিতে বিচারের আশায় দারে দারে ঘুরছেন বাবা ওয়ারেশ। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থায় আবেদনও করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গাংনী পৌরসভাধীন বাঁশবাড়িয়া গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ীয়া দক্ষিণ পাড়ার ভ্যানচালক ওয়ারেশ আলীর বড় মেয়ে বিপাশা খাতুনের একই গ্রামের মৃত ছকিমের ছেলে আনারুল ইসলাম (টটুল) এর সাথে প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। ৩-৪ মাস সুখে শান্তিতে চলে তাদের সংসার । তারপর থেকেই বিপাশার প্রতি শুরু হয় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন।
বিপাশা জানান, প্রায় ২ বছর যাবৎ আমি আমার বাবার বাড়ি আছি । আমার স্বামী আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। আমি ফোন করলে সে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে।
বিপাশার বাবা ওয়ারেশ আলী বলেন, আনুমানিক গত ৫-৬ মাস আগে রাত ১০ টার দিকে একটি প্রাইভেটকার আমার বাড়িতে আসে। এক ব্যক্তি টুটুলের বন্ধু পরিচয় দিয়ে বলে আপনার জামাই অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি আছে। আপনার মেয়ে বিপাশাকে আমাদের নিয়ে যেতে বলেছে।
কিন্ত তাদের কথা আমার বিশ্বাস হয়নি। গাড়ির ভিতরে ৪ জন ছিলো, প্রত্যেকেরই মুখ বাঁধা। পরে আমি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়।