২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট যেসব খাতে কোনো অবদান না রেখে ছেড়ে গিয়েছিলো সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর হিসেব আছে ইশতেহারে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলের ইশতেহার ঘোষণা করার সময় এসব খাতের উল্লেখ করা হয়।
২০০৬ সালে একটি জেলাও ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ছিলো না।২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩২ টি জেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করতে পারছে। নভেম্বর পর্যন্ত ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা সংখ্যা ৩৯৪টি।
ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৭২টি, ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ পেয়েছে ২ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন। ১৯৯৬ সালে এ সংখ্যা ছিলো শূ। দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ডের সংখ্যা ১৫টি, হাইটেক পার্ক, সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ১০৯টি। এসবের কিছুই ছিলো না ১৯৯৬ সালে।
২০২৩ সালে এসে ফ্যামিলি কার্ড ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রাপ্ত উপকারভোগী (টিসিবি কর্তৃক প্রদত্ত) প্রায় ৫ কোটি মানুষ। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৮৪ লক্ষ জন। এই খাতেও শূণ্য অবদান রেখে গেছে বিএনপি জামায়াত জোট।
একইভাবে কৃষকদের প্রদানকৃত কৃষি কার্ডের সংখ্যা ২ কোটি ৬২ লক্ষ কৃষক, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৫১ লক্ষ, বর্গা চাষীদের জন্য কৃষিঋণ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২৮ লক্ষ বর্গা চাষী। এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধাভোগী ৮ কোটি ৫০ লক্ষ জন।
ইশতেহারে বলা হয়, কীভাবে এই ১২টি খাতে প্রথম অবদান রেখেছে আওয়ামীলীগ এবং শূণ্য থেকে কোথায় পৌঁছানো গেছে। সেখানে এও উল্লেখ করা হয়, যুদ্ধবিধান্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জর্জরিত একটি দেশের শাসনভার নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি হাতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র ৩ বছরে ১৯৭৫ সালে তা ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন
। প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ অর্জন করেন। এই স্বল্প সময়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে জাতির পিতা নির্মমভাবে নিহত হন। সেই সঙ্গে ঘাতকেরা কেড়ে নেয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সব সম্ভাবনাকে, মহান স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শকে।