নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা মামলার জেরে ৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস।
আজ মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো: আব্দুর রহমান সরদার তাঁকে সহ দুজনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্ত অন্যজন হলেন- মুজিবনগরের আনন্দবাস গ্রামের মামুন অর রশিদ।
জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের আইনজীবী মিয়াজান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের পক্ষে আরও আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন খ ম হারন বিন ইমতিয়াজ জুয়েল, কামরুল হাসান। সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে নৌকার সমর্থকরা আনন্দ মিছিলকে করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিনবিশ্বাসের বাড়ির সামনে গিয়ে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয়। এসময় উভয় পক্ষের কর্মিদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে এতে উভয় পক্ষের ২১ জন কর্মি সমর্থক আহত হয়। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ গিয়ে সেখানা ফাকা ৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে দু-পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসকে প্রধান আসামী করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গত ১০ জানুয়ারি মুজিবনগরের আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।