রসে টসটসে বেগুনি রঙের মিষ্টি ফল জাম খেতে কার না পছন্দ। গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ-সমৃদ্ধ নানা ঔষধি বৈশিষ্ট্য। যার কারণে অন্য ফলের তুলনায় এটি স্বাস্থ্যকর। জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞ শাহনীলা তৈয়ব। চলুন জেনে নেই:
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী ফল। কারণ, এতে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রোপার্টিজ-এর কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যা স্টার্চ ও চিনিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
জাম
জামে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও লৌহ হাড়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য চমৎকারভাবে কাজ করে। তাই হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগীদের এবং বয়স্ক মানুষদের খাবার তালিকায় এই সুস্বাদু ফলটি রাখা উচিত।
জামের অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ এবং গ্যাস্ট্রো-এর মত অ্যান্টি উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
জামে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া এবং জন্ডিসকে নিরাময় করে এবং বিভিন্ন ধরনের আয়রনঘটিত সমস্যাগুলোর জন্য যারা ভুগছেন তাদের জন্য জাম খুবই ভাল।
জাম
একটি গবেষণা অনুযায়ী জামের নির্যাসে প্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য আছে, যা প্রমাণ করে যে জামের নির্যাস ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে থাকে।
এই ফল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হিসাবে, এটি স্কিন-এর জন্য ভাল এবং অকাল বার্ধক্যজনিত যে কোন কিছুতে এটি বাঁধা দেয়।
জামে আছে অ্যালজিনিক এসিড বা অ্যালজিট্রিন , অ্যান্থোসিয়ানিন এবং অ্যান্থোসায়ানাডিনস -এর মতো পুষ্টিসমূহ যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এই যৌগগুলো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস-সমৃদ্ধ যা অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভালো রাখতে অসামান্য অবদান রাখে।
এছাড়াও এটি পটাসিয়াম-এর একটি সমৃদ্ধ ভাণ্ডার, যা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক-এর ঝুঁকি, স্ট্রোক প্রভৃতির ঝুঁকির কারণ।
সূত্র: ইত্তেফাক