জীবননগরে অফিস সহকারীর ভুলে মাদরাসার ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের জেডিসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না।
গত শনিবার সারাদেশের ন্যায় জীবননগরে এক সাথে অনুষ্ঠিত হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। তারই ধারাবাহিকতায় জীবননগর
উপজেলার কাটাপোল গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত মাধাবপুর ইসলামী দাখিল মাদরাসার ছাত্র হিসাবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে যায়। কিন্তু গত বছর কোরআন শিক্ষা এবং আরবি বিষয়ে ফেল করায় এ বছর পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে প্রবেশ পত্র না নিয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা তাকে কোরআন শিক্ষা পরীক্ষা দিতে দেয়নি।
এদিকে বিষয়টি শিক্ষকদের কাছে বলা সত্বেও কোন ফল না পাওয়ায় এ বছরও দেওয়া হলো না ইয়াসিনের পরীক্ষা শিক্ষকদের এ অবহেলায় ঝরে গেল ইয়াসিনের জীবন।
ইয়াসিন অভিযোগ করে বলে, আমি বৃহস্পতিবার মাদরাসায় প্রবেশ পত্রের জন্য যায় সেখানে মনির স্যারকে প্রবেশ পত্রের কথা বললে তিনি আমাকে বলে তোমার প্রবেশ পত্র শরিফ স্যারের কাছে আছে। আমি মাদরাসায় শরিফ স্যারের কাছে গেলে দেখি তিনি নাই এর পর স্যারকে বললে তিনি বলেন শরিফ স্যারের ডয়ারে আছে তুমি সেখান থেকে নিয়ে যেয়ো। পরীক্ষার দিন সকালে মাদরাসায় যেয়ে শরিফ স্যার না আশায় আমার পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।
মাদরাসা সুত্রে, জানা গেছে গত ৩০ শে অক্টোবর মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার সকল শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশ পত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন মাদরাসা সুপার এবং সকলকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান অফিস সহকারী শরিফ তা হলে কেন পেল না প্রবেশ পত্র ইয়াসিন আরাফাত প্রশ্ন অভিভাবকের।
অফিস সহকারী শরিফ বলেন, আমি বৃহস্পতিবার ৫ম শ্রেনীর রেজিস্ট্রিকার্ড আনার জন্য জীবননগরে ছিলাম। তাছাড়া আমার কাছে কেউ প্রবেশ পত্রের জন্য আসেনি।
মাধবপুর ইসলামী দাখিল মাদরাসার সুপার তাজুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৩০ শে অক্টোবর যে সমস্থ শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র নেয়নি তাদের সকলকে প্রবেশ পত্র দেওয়ার কথা বলেছি শরিফকে সে আমাকে জানায় যে সে সকল শিক্ষার্থীর হাতে প্রবেশ পত্র তুলে দিয়েছে। কিন্তু ইয়াসিন প্রবেশ পত্র না পাওয়ার বিষয়টি আমি সঠিক ভাবে বলতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিনেশ চন্দ্র পাল বলেন, যদি কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র না নিয়ে আসে বা কোন সমস্যা হয়। এমন কি যদি হারিয়ে যায় তা হলে সে বিষয় আমরা কম্পিউটারে সার্চ দিলে তার সমস্থ তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই বলে পরীক্ষা দিতে পারবে না এটা ঠিক না। তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করবো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অফিস সহকারীর এহেন কান্ড দেখে অভিভাবকরা হতাশ।
-জীবননগর প্রতিনিধি