জীবননগরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চায়না লেবুর চাষ হচ্ছে। জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে চায়না লেবুর চাষ করে যাদুকারী সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা।
গত তিন বছর আগে লাগানো বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সুন্দর গাড়ো কমলা রঙ্গের সু-মিষ্ট লেবু। বাণিজ্যিক ভাবে লাভ জনক হওয়ায় চায়না লেবু চাষে আগ্রহী হয়েছে অনেকে। জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য উপযোগী হলেও এই প্রথম একজন উদ্দোমী লেবু চাষী ওমর ফারুক চায়না লেবু চাষ করে সফল হয়েছেন।
জানাগেছে ২০১৬ সালে জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামে ১বিঘা জমিতে পরীক্ষা মুলকভাবে চায়না লেবুর জাতের ১৫০টি চারা রোপন করেন কৃষক ওমর ফারুক । চারা লাগানোর পর নীবিড় পরিচর্যা ওজৈব প্রযুক্তি(কেঁচো সার)ব্যবহার করে মাত্র তিন বছর বয়সে গত বছর সামান্য পরিমান ফলন আসলেও এবার প্রতিটি গাছে ১০০শ থেকে ১৫০টি ফল ধরছে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুন্ড গ্রামের সড়কের পাশে ওমর ফারুকের স্বপেনর চায়না লেবু বাগানে গিয়ে দেখা যায়।
ছোট ছোট চায়না লেবু গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় লেবু। তিনি জানান প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ১৫০টি করে ফল ধরেছে । এ ফলনে দারুন খুশি চাষী ওমর ফারুক । তার বাগানে উৎপাদিত চায়না লেবু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমদানী করা হচ্ছে। যে কোন লেবুর চেয়ে রসালো সুস্বাদু এবং বেশি মিষ্টি।
তার সাফল্য দেখে অনেকে লেবু চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং তার বাগানে আসছেন মানসম্মত চারা সংগ্রহের জন্য। এরই মধ্যে তিনি প্রচুর পরিমানে চায়না লেবুর কলম তৈরি করছেন বিক্রয়ের জন্য। নিজস্ব মাতৃগাছ হতে চারা কলম তৈরি বলে তিনি জাতের বিষয় শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে চারা বিক্রি করছেন । চলতি বছরে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে লাগানো চারা সরবরাহ করছেন বলে তিনি জানান।
বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ১০হাজার কলম তৈরি আছে চায়না লেবু বাগান করার জন্য। এ ব্যপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, মাল্টা চাষী ওমর ফারুক একজন সৎ কর্মোট ও সচেতন চাষী। সে সম্পন্ন রাসায়নিক মুক্তভাবে জৈব সার (ভার্মি কম্পোস্ট)এবং জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে চায়না লেবুর চাষ করছেন।
কৃষি বিভাগ তার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে যা আগামিতে অব্যহত থাকবে । আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ উপজেলায় চায়না লেবু চাষে বিপ্লব ঘটবে। সরকারী ভাবে কৃষকদের চায়না লেবুর পাশাপাশি সব ধরনের চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
জীবননগর প্রতিনিধি