জীবননগর উপজেলায় টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন প্রান্তিক চাষীরা।গত বুধবার সন্ধা থেকে বিরতিহীন বৃষ্টি হওয়ায় এ ক্ষতির আশস্কা করছেন ।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আলু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
আজ শুক্রবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর, বাকা ইউনিয়নের মিনহাজপুরসহ ৮টি ইউনিয়নে তিন দিনের অনবরত বৃষ্টির কারণে আলু ফসলের খেতে প্রচুর পানি জমে গেছে। ফসলের মাঠগুলোতে আলু, সরিষা, বোরো ধানের বীজতলা, পেয়াজ,ভুট্টাসহ শীতকালীন তরকারি রয়েছে।
হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ৫ জমিতে তিনি আলু চাষ করেছেন। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জমিতে হাটু পানি বেধে থাকায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।
বাকা ইউনিয়নের কৃষক নিজাম হোসেন জানান, চলতি বছরে ২ একর জমিতে আলু,পেয়াজ চাষাবাদ করেছি। সার-ঔষধের দাম হওয়ায় খরচ হয়েছে ব্যাপক। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। পেয়াজ বীজ ও আলু বীজ পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি।
সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রনি আহম্মেদ বলেন ,ধান চাষের জন্য বীজতলা ছিল তিন দিনের পানিতে বীজতলা পানির নিচে পানি ছেকে দেওয়া হয়েছে এখন কি যে হবে সেটাই দেখার বিষয় বীজতলা নষ্ঠ হলে চাষে লোকসান গুনতে হবে। করা। লাল শাক বাজারজাত হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে পচে গেছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিপ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে হাসাদহ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কমকতা মোঃ শিমুল হোসেন জানান, বৈদ্যানাথ পুর ব্লকে ২১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে।টানা তিন দিন বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতে পানি জমে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। বিশেষ করে আলু চাষে কিছুটা ক্ষতি সম্ভবনা রয়েছে ।