জীবননগর উপজেলার করতোয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও তার অনুসারীরা। করতোয়া নদীটি দীর্ঘদিন অবহেলায় বিলিন হয়ে যাওয়ার মত পড়ে ছিল কিন্তু বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে মরা করতোয়া নদী আবারও পুনঃখনন করে সাধারন মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষনা দেন । এদিকে করতোয়া নদী খনন কাজ শেষ হতে না হতেই করতোয়া নদীর দিকে নজর পড়েছে দখলদারদের।
এই নদীতে এলাকার মানুষ গোসল করা, মাছ ধরা থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যবহার করেন। সেই নদীতে হঠাৎ করে বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও স্থানীয় ক্ষমতাশীন দলের বেশ কিছু প্রভাবশালী বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। জীবননগর উপজেলার বাকা ইউনিয়নের পাথিলা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী।
স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর এই নদীর সরকারি জায়গার কিছু অংশ জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত ছিল। আর কিছু অংশ রবিউল মেম্বার ও তার অনুসারীরা ইজারা নেওয়ার দাবি করে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। সরকারি ভাবে নতুন করে খনন করা করতোয়া নদী আবারও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এ মাছ চাষ করার কারণে কাউকে সেখানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। পাথিলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, তাদের গ্রামের পাশ দিয়ে করতোয়া নদী বয়ে গেছে। নদীটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আবার ভারতে চলে গেছে।
গঙ্গাদাশপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের বাড়ির নিচ থেকে পাথিলা গ্রামের ব্রীজ পর্যন্ত বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধটি দিয়েছেন বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পাথিলা গ্রামের রবিউল ইসলামসহ তার অনুসারীরা। গত এক মাস হলো তারা হঠাৎ করে ওই করতোয়া নদীতে বাঁধ দেন। আনুমানিক ১২ একর জলাকার এই বাঁধ দিয়ে আটকে ফেলে জলাশয়ে তারা মাছ ছেড়েছেন। পাথিলা গ্রামের মানুষ এই নদী নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। তাই দখলকারীকে বাঁধ না দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছেন।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, রবিউল ইসলাম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান যে কারণে রবিউল ইসলাম কারও কোনো কিছুই মানতে চান না। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনগনসহ সুধী মহল।
এ বিষয়ে দখলকারি বাকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই নদীটা ইউএনওর নিকট থেকে বদ্ধ জলাশয় হিসাবে ১৯৯০ সালে গনস্বাস্থ এনজিওর মাধ্যমে বরাদ্ধ নেওয়া হয় । পরবতীতে আমরা যুব সমবায়ের মাধ্যমে এ মাছ চাষ করে থাকি। এটা আমরা ইজারার মাধ্যমে মাছ চাষ করে থাকি প্রতি বছর আমরা খাজনা দিয়ে আসছি এ বছরও খাজনা দেওয়া হয়েছে।
বাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, তিনি ঘটনাটি জানেন না এবং এ ধরনের কোন নদী ইজারা দেওয়া হয়েছে কি না সেটাও তিনি জানেন না । তবে রবিউল ইসলাম মেম্বার তিনি দীঘ দিন যাবৎ এ নদীতে মাছ চাষ করছেন বলে জানান।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।