চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় ৯০ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। সকাল হলেই লাঙ্গল-জোয়াল ঘাড়ে নিয়ে কৃষকরা ছুটে যায় জমিতে।
এমনই একজন পান চাষী জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের রহমত আলী। যিনি ২ বিঘা জমিতে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি জানান, পান চাষে বিঘা প্রতি ৬০ হাজার টাকা বিনিযোগ করেছেন। এক বছরের মাতায় তার বিনিয়োগ কৃত অর্থ উঠে প্রায় বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তা ছাড়াও এখন পর্যন্ত জমিতে যে পরিমাণ পান আছে তাতেও সে অনেক টাকা আয় করবে বলে জানান।
পান চাষে এই বিপ্লবের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজ করি। তা ছাড়া বর্তমানে আমার জমিতে প্রতিদিন পুরুষ এবং নারী শ্রমিক পান বরজে কাজ করে।
কৃষি অফিস থেকে কোন সাহয্য সহযোগিতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন দিন কৃষি অফিসের কোন সাহায্যে সহযোগিতা পাইনি। তবে কৃষি অফিস থেকে মাঝে মাঝে পানের রোগ মুক্তি করার লক্ষে জমিতে এসে পরামর্শ দিয়ে যান।
এদিকে রহমত আলীর কাছে পান চাষ শিখে এখন অনেকে পান চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এর মধ্যে একই গ্রামের কৃষক মইদুল ইসলাম জানান, রহমত আলীর কাছ থেকে পান চাষ শিখে আজ তিনিও সাবলম্বী হয়েছে।
রহমত আলীর পান চাষে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন এলাকার চাষীরা নিয়মিত ভিড় জমাচ্ছেন তার পান চাষ রপ্ত করতে পানের বরজে।
স্থানীয় পান চাষীরা অভিযোগ কওে বলেন, জীবননগর উপজেলায় বর্তমানে যে হারে পান চাষ হচ্ছে সে তুলনায় পানের একটি নিদিষ্ট কোন বাজার না থাকায় পান চাষীরা পান বিক্রি নিয়ে অনেক সময় হতাশার মধ্যে দিন যাপন করতে হয়।
যদি সরকারি ভাবে জীবননগরে একটি পানের স্থায়ী বাজার স্থাপন করা হয় তা হলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য অন্যতম রহমত আলী ও মইদুল ইসলাম পান চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে এতে তারা সাবলম্বী হয়েছে। তা ছাড়াও জীবননগর উপজেলা একটি কৃষি প্রধান এলাকা এই এলাকায় পান চাষের পাশাপাশি কপি, মরিচ, লাউ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। এবং আমাদের কৃষি অফিস থেকে সব সময় কৃষকদের চাষে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
এলাকায় কোন নিদিষ্ট সবজির হাট না থাকায় চাষীরা সঠিক দাম পাচ্ছে না। তবে এই এলাকায় সবজির হাট খুবই প্রয়োজন। তাহলে এলাকার চাষীরা উপকৃত হবেন।