দীর্ঘদীন যাবত পরস্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েও তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে আঁধারে চার সন্তানের জনকের ঐ পরস্ত্রীর ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জীবননগর উপজেলা ৬নং রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদা গ্রামে। গত ২শরা জুলাই এ ঘটনা ঘটে বলে জানাযায় ।
জানাযায় , জীবননগর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদা গ্রামের মুনতাজ হোসেনের ছেলে চার সন্তানের জনক ভুট্রো (৫০) মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের স্কুলপাড়াই বসবাসকারী সোহেল রানার স্ত্রী অন্তরা খাতুনের দিকে । তারপর থেকে অন্তরা খাতুনকে ভুট্রো মিয়া বিভিন্ন ভাবে প্রস্তাব দিতে থাকে ।
ভুট্রোর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২রা জুলাই রাতে ম্বামী সোহেল রানা বাড়িতে না থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে লম্পট ভট্রো রাতে আঁধারে ঘরের জানালা দিয়ে পাটকাটিতে করে আগুন ধরিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরে ছুড়ে মারে এ সময় ঘরের ভিতরে থাকা অন্তারা খাতুন এবং তার সাথে থাকা তারিই ভাসুরের মেয়ে বিষয়টি টের পেয়ে সাথে সাথে প্রাণ বাঁচাতে কোন ভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন পরে বাড়ির সকলে এবং পাড়া প্রতিবেশীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু ঘরের মধ্যে থাকা গরু বিক্রির নগদ এক লক্ষ টাকা সহ প্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছায় হয়ে যায় বলে এমনটি জানান ভুক্তভোগী পরিবার এবং ঐ সময় উপস্থিত ঐ মহল্লার বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে নিজাম , হাসেমের ছেলে রিদয় এবং মৃত সৈয়দ সরকারের ছেলে হাসান আলী সরকার। অন্তরা খাতুন জানান আমার স্বামী বাহিরে চাকুরি করে তাই আমি আমার শশুর বাড়িতেই একাই বসবাসকরি।
আমার স্বামী বাড়িতে না থাকাই সুযোগ বুঝে লম্পট ভুট্রো আমাকে দীর্ঘদিন ধরে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এমনকি বলতো আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তাই আমি আমার প্রাণ বাঁচাতে ও মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি এতদিন কাউকেই জানাতে পারিনি। শেষমেশ সে আমাকে মেরে ফেলার জন্য এই প্লান করেন।
এদিকে ঘটনাটি ঘটার পরে ভুট্রো এলাকা থেকে শটকে পড়াই এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকাই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তরা খাতুন গতকাল সকালে নিজেই জীবননগর থানাই উপস্থিত হয়ে উক্ত ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে জীবননগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাযায়।
ঘটনাটি এলাকাই জানাজানি হলে গ্রামের সকলেই উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মূলোক শাস্তির দাবি জানান।