জীবননগর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামে সরকারি বাওড়ে ও কেষ্টপুর মাঠে জমি থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এ বালি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। বালি বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর। এতে করে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। গ্রামীন ও প্রধান সড়ক দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক্টর বালি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে দেখার অনেক লোক আছে কিন্তু প্রতিরোধ করার লোক নেই বলে মনে করছে সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসাদাহ ইউনিয়নের ১ নং পুরন্দরপুর গ্রামের শেষ মাথায় সরকারি বাওড় থেকে স্থানীয় যুবলীগের নেতাসহ তার ভাইদের সাথে নিয়ে বাওড়ে ড্রেজার ভিড়িয়ে বালি উত্তোলন করেন। এখন বর্তমান বাওড় থেকে ড্রেজার উঠিয়ে স্টকে রাখা বালি গুলো বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করছে। ফলে এলাকায় বালি বহন ট্রাক্টর বালি নিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে সারাদিন।
এ রাস্তা দিয়ে লোকজন আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছে। অপর দিকে রায়পুর ইউনিয়নের কেষ্টপুর বাওড়ের ঘাসমাঠে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও ডালিম নামক ব্যক্তিরা নিজেদের জমি নিচু করার জন্য ভেকু দিয়ে বালি উত্তোলন করে রেখেছে। বালি বিক্রিয়ের জন্য বিভিন্ন ভাটার সাথে চুক্তি করে ট্রাক্টর ভিড়িয়ে গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে বালি নিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে।
এসকল ট্রাক্টর বালি বহনের সময় আলগা বালি বহন করছে। রাস্তাদিয়ে সাধারণ মানুষজন চলাচল করার সময় বালি উড়ে চোখে মুখে পড়ছে। গত কয়েক মাস আগে কাটাপোল গ্রাম থেকে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে, তা ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করা হয়।
এর কিছুদিন পর মাটিটানা একটি ট্রাক্টর রাস্তার পাশ দিয়ে বাইসাইকেল চালক তার স্ত্রী সন্তানকে সাথে নিয়ে ওই রাস্তাদিয়ে তার মিনাজপুর ভাইরাভায়ের বাড়ীতে যাওয়ার সময় ট্রাক্টরের সাথে থাক্কা লেগে ওই ব্যক্তির মাথার খুলি উপড়ে যায়,পরে সেখানে তার মুত্যু হয়। এ খবর শুনে তখনকার সময়ের নির্বাহী অফিসার হিসাবে মুনিম লিংকন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা নির্বাহী অফিসারকে একটি ইটের খোয়ার আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে আহত হন। পরে জমিরের বাড়ীতে আশ্রয় নেন।
তাই বড় আকারের দুর্ঘটনার আগে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেলের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি, এসকল বালি উত্তোলনকারীদের আইনের আওতায় এনে জরিমানা ও কঠোর সাজা দেয়ার দাবি জানিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এরকম দুর্ঘটনা আর না ঘটে।