জীবননগরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার কার্ডসহ দুর্যোগসহনীয় ঘর দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওর্য়াড মম্বার মঈনুল হাচানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উথলী গ্রামের মৃত আনিছ উদ্দিনের মেয়ে বিধবা সফুরা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পরে তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করে আমার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা চাই আমি টাকা দিতে না পারায় এক বছর যাবৎ কার্ড দেওয়ার নাম করে আমাকে ঘুরাচ্ছে, আর বলছে টাকা দিলে কার্ড হবে তা না হলে কার্ড হবে না। আমি মাঠে মাঠে কাজ করে খাই আমি টাকা কোথায় পাবো।
একই অভিযোগ করেন উথলী গ্রামের মালপাড়ার মৃত হকাজ্জেল মন্ডলের ছেলে জামাত আলী বলেন, আমাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবে বলে মঈনুল মেম্বার আমার কাছ থেকে প্রথমে ৩ হাজার টাকা নেয় পরে আমার বইতে থাকা ৬ হাজার টাকা তুলে নেয়। এবং পরে বলে আমাকে একটি সরকারি ভাবে ঘর তৈরি করে দিবে এ জন্য তিনি আমার ছেলে রাকিবের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। এখন আমার ঘর ও দিচ্ছে না আবার আমার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে সুষ্ঠ বিচারের জন্য জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওর্য়াড মেম্বার মঈনুল হাচান মঈন বলেন, আমি কারও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এমন কি ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা গ্রহন করিনি। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করার চেষ্ঠা করছে।
উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ বলেন, আমার ইউনিয়ন এমন কোন ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি তবে এ ঘটনার সাথে যদি কোন ইউপি সদস্য জড়িত থাকে তা হলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবননগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাসুদুর রহমান বলেন, উথলী ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াড সদস্যর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমাদের নিকট আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন বলেন, উথলী ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াড মেম্বারের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও সরকারী ঘর দিবে বলে অর্থ নিয়েছে এমন দুটি অভিযোগ পেয়েছি এটি তদন্ত করা হবে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।