সবুজ পাতার মাঝে উঁকি দিচ্ছে থোকায় থোকায় ভিয়েতনামী বারোমাসি মাল্টা। এ দৃশ্য চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের কৃষি উদ্যেক্তা সজল আহম্মেদের বাগানে। তিনি বলেন, ২ বিঘা জমিতে ভিয়েতনামী মাল্টা চাষ করেছি। আমার এই বাগানের বয়স এখন ৭ বছর। মাল্টা গাছ রোপণের ৬ মাস পরেই গাছে ফল আসা শুরু হয়। বর্তমানে ৭ বছরের প্রতিটি গাছ থেকে আনুমানিক ১৫০-২০০ কেজি মাল্টা পাওয়া যাচ্ছে। বাগান থেকে এখন প্রতি বছরে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় হয়।
বাগানের খরচের বিষয়ে সজল আহম্মেদ বলেন শুরুর দিকে চারা কেনা, সার, কীটনাশক ইত্যাদি কিনতে বিঘা প্রতি ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং দ্বিতীয় বছরে ১ লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। দ্বিতীয় বছরে ১ লক্ষ টাকা খরচ হলেও দেড় লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছিলাম। বাগানের খরচ বাদ দিলেও প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থাকছে প্রতি বছরে।
মাল্টা গাছের রোগ বালাই সম্পর্কে সজল আহম্মেদ বলেন লেবু জাতীয় গাছে রোগ বালাই খুবই কম তবে ছত্রাক দেখা যায় এজন্য ছত্রাক নাশক স্প্রে করলেই সমাধান হয়ে যায়। মাল্টা গাছে তেমন পরিচর্যার দরকার হয় না। রোপণ করার নিয়মও অন্য সাধারণ গাছের মতোই প্রথমে জমি চাষ দিয়ে তারপর ১২ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি চারা রোপন করি। বারোমাসি মাল্টা বাগান নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে কারণ এই জাতের গাছ থেকে আমি বারোমাস মাল্টা পাই। আল্লাহর রহমতে এখন আমার একশত ত্রিশ বিঘায় বিভিন্ন ফলের বাগান হয়েছে। কৃষক ও নতুন কৃষি উদ্যেক্তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই আপনারা মাল্টা চাষ করতে পারেন এতে করে আপনারা লাভবান হতে পারবেন। মাল্টা চাষ ও কৃষি বিষয়ে কোন পরামর্শ প্রয়োজন হলে আপনারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা আমার বাগানে এসে ঘুরে যেতে পারেন। আপনাদের সকলকে আমার মাল্টা বাগানে আসার নিমন্ত্রণ রইলো।