জীবননগরে রাতের আধারে কৃষকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হানা নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট এক মাসের ব্যবধানে একই এলাকাতে তিনবার ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার সময় জীবননগর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড নারায়নপুর গ্রামের মৃতঃ আফসার আলীর ছেলে কৃষক হাবিবুরের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার সময় মুখোশ পরা অবস্থায় ১৫ থেকে ২০জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে । এ সময় বাড়ির ৫জন সদস্যকে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ ১২হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।এদিকে গত এক মাসের ব্যবধানে একই এলাকায় তিনবার ডাকাতি হওয়ার ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কোরবানীর ঈদের দুই দিন আগে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত মান্দার আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক আঃ সালাম জীবননগর বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে সীমান্ত ব্রীক্সের অদুরে আম বাগানের নিকট তাকে থামিয়ে কাছে থাকা নগদ অল্প কিছু টাকা ও কিছু ঔষধ নেওয়ার চেষ্টা করে টাকা দিতে অপরাগত জানালে তার মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরে গুরুত্বর আহত করে কাছে থাকা মালামাল ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জীবননগর থানা পুলিশের সদস্যরা আমবাগানের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঔষধ উদ্ধার করে।
গত ১লা আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় একই স্থানে রাস্তার উপর গাছ ফেলে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, আশা ঘটক, বাবু এবং বাবুর কারখানার শ্রমিকদের আটক করে তাদের নিকট কোন অর্থ না পাওয়ায় তাদেরকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এদিকে সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও এক কৃষকের বাড়িতে ডাকাতি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন যে স্থানে একাধিকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে তার পাশেই পুলিশ থাকছে পুলিশ থেকেও যদি ডাকাতি হয় তা হলে সাধারন মানুষ নিরাপত্তা থাকবে কি ভাবে।ডাকাতদের ভয়তে এখন বাড়িতে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন,নারায়নপুর গ্রামে যে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে ওই পরিবারের লোকজন থানায় কোন অভিযোগ করেনি তবে বিষয়টা আমরা তদন্ত করছি । তদন্ত পুর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।